Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়নের ইতিহাস

ইউনিয়ন পরিষদ এই উপমহাদেশের  প্রাচীনতম  স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান।জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের ও স্থানীয় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।১৮৭০ সাল থেকে আজ অবধি নানাবিধ চড়াই উৎরাই অতিক্রম কওে ইউনিয়ন পরিষদ বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে।ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন ও সমাজের সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নতি সাধন,জনগনের দোরগোড়ায় সেবা পৌছানো এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সুন্দরপুর ইউনিয়নটি ১৯৬২ সালে সৃষ্টি হয়। বর্তমান চেয়ারম্যানের পূর্বে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা হলেন-(১) মৃত জহাক মন্ডল( ভারপ্রাপ্ত), তিনি 19.06.1982 হতে 25.12.1982 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (২)মৃত শুকুরুদ্দীন, তিনি 31.12.1982 হতে 25.01.1984 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (৩)মৃত সাদরুজ্জামান, তিনি 01.03.1984 হতে 24.06.1988 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (৪)মৃত তাজেমুল হক, তিনি 01.07.1988 হতে 10.04.1992 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (৫)মৃত ইয়াসিন আলী, তিনি 16.04.1992 হতে 25.03.1998 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (৬)মোঃ আফসার আলী বিশ্বাস, তিনি  28.03.1998 হতে 05.03.2003 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (৭)মৃত সাদরুজ্জামান, তিনি  11.03.2003 হতে 03.08.2011 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, (৮)মোঃ মতিউর রহমান, তিনি 03.08.2011 হতে 08.08.2016 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে জনাব হাবিবুর রহমান ২০১৬ সাল হতে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানের পূর্বের চেয়ারম্যানগুলো বিভিন্ন গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম যেমন: রাস্তাঘাট, প্রটেকশান ওয়াল, ব্রিজ, মাটি ভরাট, কালভার্ট, বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা’র শিক্ষা উপকরণ, দুঃস্থ অসহায়দের সেবা সহ বিভিন্ন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছেন।

 

 স্থানীয় সম্পদের সীমাবদ্ধতা,নিজস্ব আয় ও তহবিলের স্বল্পতা, পরিষদ বর্গের দক্ষতা এবং সাধ ও সাধ্যেও সমন্বয়হীনতার কারনে কারনে কাংখিত উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইচ্ছা থাকলেও রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা জানি উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ অঞ্চলের দোঁআশ পলিমাটি সোনালী ফসল ফলায়। দারিদ্র ও অপরিকল্পত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বেকরত্ব, মাদক, চোরাচালান সহ নানবিধ সমস্যদি বিদ্যমান থাকলে ও যুগোপযোগী, বাস্তব সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহনপূর্বক বাস্তবায়িত হলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের  সমান তাল রেখে অত্র অঞ্চল উন্নয়নের রোল মডেলে রুপান্তরিত হতে পারে। ফল ফষলে ভরপুর এই অঞ্চলের দারিদ্রের হার কম হলে ও একে বারে নগন্য নয়। দারিদ্র ও বেকারত্ব অত্র অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা। অনিয়মিত জনসংখ্যা বৃদ্ধিও ফলে এই সমস্যা দিন দিন আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।  অতীতে এই অঞ্চলে কুটির শিল্প,পাট শিল্প,মৃৎশিল্প, কাসা, পিতল শিল্পীসহ ছোট ছোট শিল্পের  অবস্থিত থাকলে ওযুগের পথ প্রবাহে যেগুলো আজ বিলীন হয়ে গেছে, ফলে কর্মস্থান বৃদ্ধি পায়নি। চোরাচালান ও মাদক ব্যাবসা অত্র এলাকার অন্যতম সমস্যা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজাগ সর্তক প্রহরী ও অবৈধ চোরাকারবারিদের গ্রেফতার ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থার পরেও সেগুলো এখন চলমান অবস্থায় রয়েছে। যা খুবই উদ্বেগজনক নিয়মিত মাদক সেবনের ফলে বহু সংখ্যক যুবক আজ জীবন জীবিকা পরিবার  সবই  অত্র অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো চিকিৎসা ব্যবস্থার দূবর্লতা এখানে উল্লেখ্যযোগ্য কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বল্লেই চলে। এলাকায় যথেষ্ঠ পরিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে ও অবকাঠামোগত সমস্যা মান সম্মত আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা মান সম্পন্ন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দলীয় রাজনীতি স্বাজনপ্রীতি দূর্নীতি ও নানা অনিয়মের  ফলে এলাকার জনগন সরকারের উন্নয়ন মুলক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রান্তিক অঞ্ছল হওয়ায় কারণে এই এলাকার সঠিক চিত্র রাজধানীতে পৌঁছেনা। তাছাড়া এখানে সৎ, যোগ্য বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সংকট ও রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তব কর্মসূচী প্রনীত হলে বিপুল সম্ভাবনাময় ও প্রাকৃতিক সম্পদেও ভরপুর এ এলাকাটি একটি উন্নত অঞ্চলে পরিনত হতে পারে। আম উৎপাদনে এ এলাকাটি দেশের শীর্ষে অবস্থান করলে ও এখন পযর্ন্ত এখানে কোন আম সংরক্ষন পক্রিয়াজাত করন ও আমের বহুবিধ ব্যবহার ও বিপননের সর্বাধুনিক এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। যার ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার টন আম নষ্ট হয়। আম প্রক্রিয়াজাত করণ সংরক্ষন কল্পে, এখানে শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে মূল্যবান এ ফলের অপচয় রোধ যেমন হবে, তেমনি অনেক বেকার লোকের কর্মস্থান ও হবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া এলাকার উন্নয়নের সম্ভব নয়। নিরবচ্ছিন্ন বৃক্ষ ব্যবস্থা ও ইন্টারনেট সেবার মান ও বৃদ্ধি করতে হবে।

ধান,পাটের পাশাপাশি অনান্য অর্থকারী ফসল সবজী চাষ ও বিভিন্ন প্রকার ফলদ বৃক্ষ রোপনরে পরিকল্পনা গ্রহন করা যেতে পারে। অসম্বব উবর এলাকার মাটিট সব ধরনের ফল ও ফসল উদৎপাদানের উপযোগী। আমাদের  ইতিহাসে  ও ঐতিহ্যেও প্রধান আকর্ষন কুটির শিল্প মৃৎ শল্প সহ অনান্য ক্ষুদ্র শিল্পের পুনরুজ্জীবিত ও উন্নয়ন ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে। অধিক সংখ্যক মহিলাকে প্রশিক্ষনও প্রনোদনা দিয়ে এ কর্মে নিযুক্ত করতে হবে।বিদেশ পন্যেও উপর নির্ভরতাার ফলে এখান কার কাসা ও পিতলের মত ক্ষুদ্র শিল্পটি ও তার ঐতিহ্য হরাতে বসেছে। এ শিল্পটি রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গুলো গ্রহন করতে হবে।খাদ্য শস্যের পর্যাপ্ততা ও তৃর্নভ’মির বিস্তৃতির কল্যানে এখানে গবাদী পশু পালন অত্র অঞ্চলের দারিদ্র দূরী করনে ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। এলাকার মানুষের ব্যাক্তিগত পর্যায়ে গবাদীপশু পালন গুরুত্বপূর্ন কর্ম হলেও সমবায়ের মাধ্যমে বৃহৎ অধিকার  দান কার যেতে পারে। সম্ভবনাময় একটি খাত। ইত্যেমধে ব্যাক্তিগত প্রচেষ্ঠা ও উদ্যেগের ফলে মৎস্য চাষ ব্যপক আকার ধারণ করেচে। তার মধ্যে ও মাছের  চাহিদা পরোপুরী পূরণ করা সম্ভাব হয়নি। বাংলাদেশে সরকারের রুপকার ব্যস্তবায়নে ও জিডিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে বিদ্যুতের চাহিদা পূরন ও ইন্টারনেট সেবার মান উন্নত করার কোন বিকল্প পথ নেই। বর্তমানে ইন্টারনেট পরিসেবা চালু থাকলেও তা দ্রতগতি সমপন্ন নয়। তাছাড়া ব্যপক কর্মসংস্থানে সৃষ্টির  লক্ষে শিক্ষিত তরুন সম্প্রসারনে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বাগ্নে এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। বেকার যুব সম্প্রদায়কে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলার লক্ষে যুব প্রশিক্ষন  কেন্দ্র ও নারী প্রশিক্ষন কেন্দ্র গড়ে তোলা অবশ্যক।

কোন অঞ্চলের উন্নয়নের মুল চালিকাশক্তি হচ্ছে শিক্ষা।  সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানে আধুনিক যুগোপযুগী বাস্তবমুখী, মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। শিক্ষার্থীদো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া রোধ কল্পে ঝরে পড়ার কারন সমুহ উদঘাটন করে সেটা প্রতিরোধোর প্রয়োজনীয় ও কাযংকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এখানে কারিগরী ও প্রশিক্ষনমুলক  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভাব দূর করতে হবে।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যকর করতে হবে। শিক্ষা বিভাগে আপাদ মস্তক ঢেলে সাজাতে হবে। নারী শিক্ষায়  অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার মানোউন্নয়নের পাশাপাশি এখানে শিল্প, সাহিত্য,সংস্কৃতি , ভাষা, কীড়া ও বিনোদনমুলক কাযংক্রমকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। পরিতাপের বিষয় এই যে, অত্র অঞ্চলে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ক্রীড়া বিনোদনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান  আজো গড়ে ্ওঠেনি। ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বিনোদনের জন্য এ অঞ্চলটি যেমন, ঐতিহ্যবাহী তেমনি সমৃদ্ধশালী। এখানকার গম্ভীরা ও আলকাপ গান সারা দেশে ব্যাপী জনপ্রিয় ও প্রচুর বিনোদনের উৎস্য। সুতরাং এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য, ভাষা, সংস্কৃতি চর্চা ও সংরক্ষনে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। প্রতিটি গ্রামে পাড়া মহল্লায় লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

স্কুল স্কাউটিংকে কার্যকর করতে হবে। দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমে কার্যকর করতে হবে। সামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে। বাল্যবিবাহ বন্ধ ও যৌতুক প্রথা দূর করণের  ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেচ্ছা সেবক টিম গঠন করে আর্তমানবতার সেবা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার প্রসার ও সেবাদান কার্যক্রমকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে মসজিদ ভিত্তিক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ন্যায়, ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় মসজিদের ইমামগণকে বক্তৃতা প্রদানে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। সকল ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সব শ্রেণী পেশার মানুষের কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিশেষে বলা যায় অপরুপ প্রাকৃতিক শোভা মন্ডিত, ফুল, ফসল, ফলের সমাহার সমৃদ্ধশালী ও গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য ভাষা, সংস্কৃতি ঐশর্যৎমন্ডিত, প্রাকৃতিক ও জনসম্পদে ভরপুর আমাদের এই এলাকাটি উন্নয়ন মূখী ও সম্যাবনাময় । সৎ, দক্ষ, মেধাবী, পরিশ্রমী ও বিত্ত নেতৃত্ব এই অঞ্চলটিকে একটি উন্নত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী বাস্তবায়ন। দেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেও সাথে সমন্বয় সাধন করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিয়লস ভাবে দায়িত পালন করলে অএ অঞ্চলটি হতে পাওে এ দেশের তথা সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এজন্য সবাঙ্গে সকলের সহযোগিতা, আন্তরিকতা, কর্মপ্রচেষ্টা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা অপরিহার্য।

আমরা আশা করি  ও বিশ্বাস করি সকলের অংশগ্রহন ও সহযোগিতা  পেলে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্দরপুর ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ও সমৃদ্ধ ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।